শনিবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬

ইয়েমেন বিস্ময়

জানা গেলো 2024 সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের, সাথে জিবুতি ও ইয়েমেন। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন গত মঙ্গলবারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে। খবর দি ডেইলি স্টার।

তাজ্জব কথা, ইয়েমেন স্বল্পোন্নত দেশ? তা কি করে সম্ভব? আরব উপদ্বীপে সকল দেশ অসম্ভব রকম ধনী। এরা সপ্তাহের সাত দিন ব্যবহারের জন্য সাতটি ভিন্ন রঙের অতি মূল্যবান গাড়ি গ্যারেজে রাখে, বহুমূল্য দৌড়ের ঘোড়া কিনে, নাইটক্লাবে ডলার নোটের বৃষ্টি ঘটিয়ে আনন্দ লাভ করে।

সেই আরব উপদ্বীপে একটি দেশ স্বল্পোন্নত থেকে যায় কি করে?

বিশেষ করে সৌদি আরবের পাশের দেশটি, যে দেশের সাথে ইসলামের প্রথম যুগের বহু স্মৃতি জড়িত। সৌদি আরব রূপকথার রাজ্যের মত ধনশালী দেশ। তার দেয়ালের অন্য পাশে এই ঘটনা কি করে ঘটে?

আজ সৌদি আরব ইয়েমেনে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িত। এতে তার নিজের দেশের রক্তক্ষরণ ও কম হয়নি। যুদ্ধের বিপুল ব্যয় ও তেলের মূল্যহ্রাস মিলে সৌদি আরব ধনী হওয়ার পর এই প্রথম আর্থিক দুশ্চিন্তায় পড়েছে। দেশে জঙ্গি হামলার পথ খুলেছে। দেশে বিদেশে অসম্মান ও নিন্দা জুটেছে।

সৌদি আরব যদি আগে তার সীমানার পাশের দেশটির সাথে সুসম্পর্ক রাখতো, সেখানে বিনিয়োগ করতো আমেরিকার বন্ড না কিনে, শিল্প কারখানা গড়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতো, দান খয়রাত করতো, বেড়াতে যেত তবে ইয়েমেনের অর্থনীতি স্বল্পোন্নত হয়ে থাকতোনা। আর সৌদি আরবকে আজকের এই ব্যয়বহুল যুদ্ধ করতে হতোনা।

দরিদ্র প্রতিবেশী বিপজ্জনক। দারিদ্র একটি ঝুঁকি, পভার্টি ইজ এ হ্যাজার্ড। দেশের সীমানার ঠিক অন্য পাড়ে এই নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে দেয়া অতি নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। এতে গোলযোগ হওয়ার ষোলআনা সম্ভাবনা। আল্লাহ পাক তাই বলেছেন ক্ষুদ্র ফিৎনা ইবাদত, দান আর সদ্ব্যবহারে মিটে যায়। সৌদি আরব তা করেনি, আর তাই আজ ফিৎনা গ্রাস করেছে তার দেশকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন