জরুরি খবর!
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত ১১.১২.২০১৬ইং তারিখের
১০.০০.০০০০.১২৮.০১৬.০১.১৩.১০৮২ নং পত্রে বলা হয়ঃ
"বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক আচরণ বিধিমালা, শৃঙ্খলা বিধিমালা এবং বাংলাদেশ
জুডিশিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ ও বরখাস্তকরণ, সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা-২০০৭ সংশোধনকল্পে সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবিত খসড়া বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নাই মর্মে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সানুগ্রহ সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
নোটিশটি এই ওয়েবপৃষ্ঠায় রয়েছেঃ http://lawjusticediv.portal.gov.bd/site/notices/43561dd0-0a3d-4530-9079-c0c8bd06688a/Disciplinary-Rules-for-the-Judicial-Officers-এবং-Judicial-Officers-Conduct-Rules-প্রণ
নোটিশটি অতি সংক্ষিপ্ত, চার লাইনের। তবে এটি পাঠে প্রতীয়মান হয় যেঃ
১। রাষ্ট্রপতি উপরোক্ত তিনটি অধস্তন আইনের ভাষ্যে কোন আপত্তি করেননি;
২। রাষ্ট্রপতি উক্ত তিনটি প্রস্তাবিত আইনের চূড়ান্ত আইনে পরিণতি প্রাপ্তিতেও
কোন আপত্তি করেননি।
৩। আইন প্রনয়নের আগে জনগণের মতামত গ্রহনের জন্য খসড়া প্রকাশের প্রয়োজন নেই,
শুধু এই মাত্র বলেছেন।
৪। রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তটিও বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়নি। শিরোনামে
নোটিশও বলা নেই।
সংবাদ মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের একটি ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সংবাদ পত্রের খবর
পড়ে এমন ধারণা হতে পারে যে রাষ্ট্রপতি এই তিনটি অধস্তন আইন প্রনয়নে বাধা দেয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কার্যত তা নয়। রাষ্ট্রপতি কেবল আইনের খসড়া গেজেটে প্রকাশের
প্রয়োজন নেই বলেছেন।
এতে সুপ্রিম কোর্টের সুবিধা হল বলতে চাইবেন অনেকে। আইন প্রনয়নের আগে জনমত
যাচাইয়ের যে একটি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রয়েছে, তা আর করতে হবেনা।
তবে, একজন নাগরিক এবং আইনজীবী হিসাবে আমরা এতে খুশি হতে পারিনি।
সকল আইন প্রনয়নের আগে অবশ্যই তার খসড়া জনমত যাচাইয়ের জন্য জনসমক্ষে প্রকাশ
করতে হবে, যাতে জনগন তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, এবং সরকার জনগণের ইচ্ছা
অনুযায়ী আইনে যথাযথ পরিবর্তন আনতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন