বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩: একটি পর্যালোচনা
ধারা ১(১): শিরোনাম: আইনের নাম হওয়া উচিত ছিলো ‘পানি সম্পদ আইন’; তা না হলে পানি যে একটি সম্পদ সেটা অনুধাবন করা আমাদের জন্য কষ্টকর হবে এবং আমরা সব কিছু পানির দামে ছেড়ে দিবো!
ধারা ১(২): আইনটি কার্যকর হওয়ার তারিখ উল্লেখ নেই, সরকার গেজেট দ্বারা তারিখ নির্ধারণ করবে|
ধারা ১(৩): এলাকা নির্ধারিত নেই, সরকার গেজেট দ্বারা তারিখ নির্ধারণ করবে|
ধারা ২(১): উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ: “... কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ যাহা কোনো আইন বা আইনের ক্ষমতা সম্পন্ন কোনো দলিলের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত” – এই সংজ্ঞার মাধ্যমে কি বলা হচ্ছে? পানি আহরণ ও সরবরাহ বেসরকারিকরণের পথ খোলা হয়েছে?
ধারা ৩(২): পানির অধিকার – ‘সর্বাধিকার’ – বার্তা পরিষ্কার নয়| এখানে সরাসরি বলা যেত যে জনগনের পানির অধিকার থাকবে| বলা হয়েছে ‘সর্বাধিকার’, আবার বলা হয়েছে ‘এই আইনের শর্ত সাপেক্ষে’ যা পরস্পর বিরোধী – ‘সোনার পাথরবাটি’
ধারা ৩(৩): ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির উপরিস্থ পানি অপব্যবহার রোধকল্পে নির্বাহী কমিটি সুরক্ষা আদেশ ইস্যু করতে পারবে – এটি একটি ভালো উদ্যোগ|
ধারা ৩(৪): পানি ব্যবহারের অধিকারের ধারাবাহিকতা থাকবে
তবে হস্তান্তরে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে| এটি পরিষ্কার করা উচিত ছিলো, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কে, অনুমতি লাভের পদ্ধতি কি ইত্যাদি|
ধারা ৮(২): পানি নীতি প্রনয়ন: গণশুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যা প্রশংসার যোগ্য| তবেগণশুনানির পদ্ধতি সুনির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন, কিভাবে শুনানির নোটিশ দিতে হবে, করাঅংশগ্রহন করবে, গণশুনানিতে অংশগ্রহনকারীদের মতামত কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে এবংতা নিয়ে কি করা হবে ইত্যাদি পরিষ্কার ভাবে উলেখ থাকা প্রয়োজন|
ধারা ১১: নির্বাহী কমিটির সভা: নির্বাহী কমিটির সভা কতদিন পরপর অনুষ্ঠিত হবে তা পরিষ্কার করে বলা উচিত| নইলে ভয়ের কারণ আছে যে কমিটির সভা নিয়ম মতো হবেনা|
· নির্বাহী কমিটির সকল সভার কার্যবিবরণী ও সিদ্ধান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে|
ধারা ১৫(৫): জাতীয় পানিসম্পদ পরিকল্পনা প্রনয়ন
·
- জনগণ সুপারিশ পাঠাতে পারবে| কিন্তু আমরা মনে করি এই পরিকল্পনা পানি নীতি থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাই এখানে ব্যাপক গণশুনানির ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন| গণশুনানির পদ্ধতি সুনির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন, কিভাবে শুনানির নোটিশ দিতে হবে, করা অংশগ্রহন করবে, গণশুনানিতে অংশগ্রহনকারীদের মতামত কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে এবং তা নিয়ে কি করা হবে ইত্যাদি পরিষ্কার ভাবে উল্ল্যেখ থাকা প্রয়োজন|
- পরিকল্পনা প্রনয়নের কোন সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি| যেহেতু বিদ্যমান পরিকল্পনাটি (National Water Management Plan) এই আইন প্রনয়নের পূর্বে প্রণীত, তাই নতুন আইনের বহু বিষয় পরিকল্পনায় নেই, তাই অবিলম্বে পরিকল্পনা প্রনয়ন করা প্রয়োজন| সময়সীমা বেঁধে না দিলে এটি কর্তৃপক্ষের খেয়াল খুশির শিকার হতে পারে|
- পরিকল্পনার আইনগত মর্যাদা উল্লেখ করা হয়নি, আমরা মনে করি পরিকল্পনাটি আইনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত| এতে এর প্রয়োগ সহজ হবে|
ধারা ১৬: পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প
- ·বেশিরভাগ পানি সম্পদ উনয়ন প্রকল্প সরকার এর হাত ধরে আসবে, তাই সরকারী সংস্থাগুলোকেও এ ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে এটা বলে দেয়া দরকার| সাম্প্রতিক সময়ে আমরা জানতে পেরেছি সরকারী সংস্থা গুলো ভবন তৈরির জন্য রাজউক এর কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়ার তোয়াক্কা করেনা|
- ছাড়পত্রের শর্ত লঙ্ঘন – ছাড়পত্রের শর্ত লঙ্ঘনের জন্য শুধু ছাড়পত্র প্রত্যাহার করার বিধান রাখা হয়েছে, আমরা মানে করি ছাড়পত্রের শর্ত লঙ্ঘন করে প্রকল্প গ্রহণ করলে তার জন্য অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে, নইলে লঙ্ঘন বন্ধ হবেনা|
ধারা ১৭: পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা
· বিধান অবশ্যই রাখা উচিত যাতে কোনো এলাকার জনগণ বা জনগনের সংঘটন সেই এলাকাকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণার আবেদন করতে পারে|
· (১) সরকার পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা ‘করিতে পারিবে’ এর বদলে করিবে করার প্রস্তাব করছি|
· পানি সংকটাপন্ন এলাকায় কি কি কার্যক্রম করা যাবেনা, তার তালিকা আইনে থাকা উচিত|
· সকল বিভাগীয় শহর ও অন্যত্র যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রেপ্লেনিশেবল লেভেল এর নিচে নেমে গেছে সেসকল এলাকাকে অবিলম্বে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে|
ধারা ১৮: পানি সংকটাপন্ন এলাকায় পানি সম্পদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক ব্যবহার
‘নদীর পানি প্রবাহকে অক্ষুন্ন রাখা’ কে (ছ) ক্রমিকে বা ৭ নাম্বার অগ্রাধিকার হিসেবে রাখা হয়েছে| আমরা মনে করি পানি সংকটাপন্ন এলাকায় নদীর পানি টিকিয়ে রাখা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য, কেননা নদীর পানি প্রবাহ টিকে থাকলে বাকি সব অগ্রাধিকার পূরণ করা সম্ভব, কিন্তু নদী একবার মরে গেলে বাকি অগ্রাধিকারগুলো অর্থহীন হয়ে পড়বে|
ধারা ১৯: ভুগর্ভস্ত পানিধারক স্তরের সর্বনিন্ম সীমা নির্ধারণ –
· The Ground Water Management Ordinance, 1985 থাকা সত্বেও এই বিধানগুলো এখানে আনা হয়েছে যেহেতু এটি পানি সম্পর্কিত সার্বজনীন আইন|
· বলা হয়েছে নির্বাহী কমিটি ‘করিতে পারিবে’, আমরা বলি এখানে বলা উচিত ‘করিবে’| এটি একটি অত্যন্ত জরুরি বিষয় এবং এটি নির্বাহী কমিটির ইচ্ছাধীন করে না রেখে বাধ্যতামূলক করে দেয়া উচিত|
· একই সাথে আমরা মনে করি সারা দেশে ভূগর্ভস্থ পানি জরিপের মাধ্যমে এই সীমা নির্ধারণের একটি সময়সীমা বেঁধে দেয়া উচিত| প্রতি দুবছর অন্তর বা অন্যকোনো নির্দিষ্ট বিরতিতে নিয়মিত এই ভূগর্ভস্থ পানি জরিপ করতে হবে|
· এই আইন কার্যকর হবার পর অনতিবিলম্বে সকল গভীর নলকুপের মালিক তার নলকুপের গভীরতা এবং উত্তোলন ক্ষমতা সংক্রান্ত সকল তথ্য সরকারকে প্রদান করে এ সংক্রান্ত সরকারী তালিকাভুক্ত হবেন|
· সকল বিভাগীয় শহর ও অন্যত্র যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রেপ্লেনিশেবল লেভেল এর নিচে নেমে গেছে সেসকল এলাকাতে আর কোনো ব্যক্তিগত নতুন নলকুপের অনুমতি দেয়া যাবেনা| পানি সংকটাপন্ন এলাকাতে সরকার গভীর নলকুপের গভীরতা এবং ক্ষমতা নির্ধারণ করে দিতে পারবে|
· কোনো এলাকার সর্বনিন্ম নিরাপদ আহরন সীমা নির্ধারণ করার সময় নির্বাহী কমিটি অবশ্যই স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে| সাধারণ ভাবে কোনো এলাকার নিরাপদ আহরণ সীমা হবে এমন যাতে সেই এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রাকৃতিকভাবে পুনর্বহাল (রেপ্লেনিশ) হওয়ার সুযোগ পায়|
· প্রত্যেক পানি সম্পদ পরিকল্পনা এলাকার জন্য আদর্শ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অর্জন লক্ষমাত্রা স্থির করতে হবে, যে সময়ের মধ্যে সে এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আদর্শ মাত্রায় বা নিরাপদ মাত্রায় পৌঁছাতে পারে| উদহারণ স্বরূপ বলা যায় যে ঢাকা মহানগরী আগামী ২০২০ সালের মধ্যে তার ভূগর্ভস্থ পানির স্তরকে আদর্শ বা নিরাপদ মাত্রায় নিয়ে যাবে| সর্বোচ্চ ১৫ বছরের মধ্যে সারা দেশে একটি আদর্শ ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রা অর্জন করার লক্ষ্য ঘোষণা করতে হবে|
ধারা ২২: জলাধার সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা –
· (১)(খ): জলাধার সংরক্ষণের উদ্দেশ্য হিসেবে জীববৈচিত্র সংরক্ষণকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন|
· আইনে কোনো এলাকার জলাধার সংরক্ষণের জন্য সেই এলাকার জনগনের আবেদন করার সুযোগ রাখা উচিত| এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধান প্রয়োজনে আইনের অধীনে প্রস্তত বিধিমালায় আনা যেতে পারে| জনগনের আবেদনের ভিত্তিতে গণশুনানির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে|
· জলাধার সংরক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ কমিটিতে সরকারের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এবং সমাজের এসংক্রান্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে|
· সংরক্ষিত জলাধারে কি কি করা যাবে এবং কি কি করা যাবেনা তা আইনে উল্লেখ থাকতে হবে, নইলে সংরক্ষণের কোনো মানে থাকেনা|
· সরকারিভাবে সংরক্ষিত জলাধার সমূহের তালিকা তৈরী ও প্রচার করা হবে|
ধারা ২৯: দন্ড
বর্তমান জরিমানা অনধিক দশ হাজার টাকা যথেষ্ট বলে মনে করিনা| পানি সংক্রান্ত অপরাধের ব্যাপ্তি বিশাল হতে পারে, তাই অর্থদন্ডের সর্বোচ্চ সীমা আরো উর্ধে রাখা উচিত| আমাদের মতে এটি অনধিক পাঁচ কোটি টাকা হওয়া উচিত|
ধারা ৩৬: অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ
মহাপরিচালক বা তrKZ©…K ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগে ব্যতিত কোনো আদালত কোনো মামলা আমলে গ্রহণ করিবেনা – এই বিধানের প্রয়োজন কি? আমরা বুঝতে অক্ষম| বহু আইনকে এইভাবে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে| জনগনকে সরাসরি মামলা করার অধিকার দিলে কি ক্ষতি হত?
নিন্মোক্ত বিধানগুলো যোগ করা প্রয়োজন:
১. বৃষ্টির পানি আহরণ
· বৃষ্টির পানি আহরণ পুকুর - ঢাকা চট্টগ্রামসহ সকল বিভাগীয় শহরে বৃষ্টির পানি আহরণের মাধ্যমে ভুগর্ভস্ত পানির স্তর নিরাপদ সীমায় রাখার জন্য সর্বত্র পুকুর সংরক্ষণ ও নতুন পুকুর খনন করা প্রয়োজন| যেসকল স্থানে নতুন নগরায়ন হচ্ছে সেখানে প্রতি বর্গমাইলে কতটি কি আকারের পুকুরের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তা আইন বলে দিবে| এ সমস্ত পুকুরের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ পানির স্তরকে সঞ্জীবিত (রেপ্লেনিশ)করবে|
· রাজউক সহ সকল স্থানীয় সরকার ও নগর পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ সকল স্থাপনার নকশায় বৃষ্টির পানি আহরণ ব্যবস্থা থাকা নিশ্চিত করবে|
২. প্রতিবেশ পানি পরিকল্পনা
সরকার এই আইনের অধীনে একটি প্রতিবেশ পানি পরিকল্পনা গ্রহণ করবে| প্রতিবেশ পানি হলো ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কোন এলাকার জলাশয় সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য যে ন্যুনতম পানির প্রয়োজন হয় তা| উক্ত পরিকল্পনায় প্রতিবেশ পানি ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ, এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রতিবেশ পানির সংস্থানের ব্যবস্থা থাকবে| প্রতিবেশ পানি ব্যবস্থাপনার লক্ষ হবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য হাওর, বাওর সহ সকল জলাশয় সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণ|
৩. বানিজ্যিক ও শিল্প পানির জন্য বিশেষ বিধান
বানিজ্যিক ও শিল্প কারখানার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য পানি উত্তোলন বা আহরণের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান থাকা প্রয়োজন| এক্ষেত্রে উত্তোলন বা আহরণ সীমা নির্ধারণ করে দেয়া প্রয়োজন এবং আহরণ সীমার অতিরিক্ত পানি উত্তোলন বা আহরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে লাইসেন্স এবং লাইসেন্স ফির ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন|
৪. পানিসম্পদ তথ্য বাতায়ন
পরিষদ বা নির্বাহী কমিটি কতৃক একটি ওয়েবসাইট চালু রাখতে হবে, যেখানে পানি সম্পদ সংক্রান্ত সকল হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হবে| এখানে পাওয়া যাবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের সর্বশেষ তথ্য, সংরক্ষিত জলাশয়ের তালিকা এবং বানিজ্যিক ও শিল্পপানির গ্রহীতাদের তালিকা এবং সরকারের সকল পানিসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ও রায়| প্রয়োজনে, সম্ভব হলে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটেও এই তথ্যগুলো প্রদর্শন করা যেতে পারে|
৫. পানি পুনর্ব্যবহার
সকল বানিজ্যিক ও শিল্প ক্ষেত্রে পানির পরিশোধন ও পুনর্ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে| কর্তৃপক্ষ এসংক্রান্ত বিধান তৈরী ও জারি করবেন|
৬. আপীল
এই আইনের অধীনে সরকার কতৃক গৃহীত যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করার বিধান রাখতে হবে|
[1] Abu Raihan M Khalid, Barrister-at-Law; Raihan Khalid & Associates. www.raihankhalid.com, Date: 25th May, 2013
আমি ২০১৫ অ্যান্ড ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের জন্য বাংলাদেশের পানি আইন নিয়ে দুটি গবেষণা করি; এই দুটি গবেষণায় বাংলাদেশের পানি আইনের অনেক নতুন বিষয় আমার নজরে আসে। তার কিছু সাম্প্রতিক লেখায় এসেছে। বাকি ধীরে ধীরে বলার ইচ্ছা রাখি।
উত্তরমুছুন