মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৫, ২০২২

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর গোলামী শীর্ষক বিতর্কের খতিয়ান ১৩.০৩.২০২২ থেকে ০২.০৪.২০২২ তারিখ

"নবীর গোলামী" শিরক। মাবুদ শুধু একজন।

১৩ই মার্চ ২০২২ তারিখে আমি Sheikh Rasel Sarkar Quaderi নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রকাশ করা মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী সাহেবের এক ওয়াজ মাহফিলের ভিডিও এর মন্তব্যে লিখি এই ভিডিও পোস্টের লিঙ্ক আমায় পাঠিয়েছিলেন মুজাফফর ভাই সে একই দিনমুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী সবাইকে নবির গোলামী করার আহবান জানান।

বিতর্কের ভিডিওটির লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/raihan11/posts/10223487227102279:25, সর্বশেষ ০৫.০৪.২০২২ তারিখে পরীক্ষিত।

আজ ০৫.০৪.২০২২ তারিখ অবধি এই পোস্টটিতে ৭১২ টি মন্তব্য লেখা হয়েছে এবং এটি ৮.৪ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে। ২৩ হাজার মানুস এই পোস্টটি “লাইক” করেছেন।

১৩.০৩.২০২২

আমি লিখিঃ

"নবীর গোলামী" শিরক। মাবুদ শুধু একজন।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন আউজুবিল্লাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

ইয়্যা কানা বুদু ওয়া ইয়্যা কানাসতাইন

অর্থঃ আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি, আর তোমার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি।

(সুরা ফাতেহা, আয়াত ৪)

 

এর জবাবে অনেকে আমায় বিদ্রূপ ও গালি গালাজ করেন

 

১৫.০৩.২০২২

ভালো আলোচনা না হওয়ায় এদিন আমি আবার লিখিঃ

"নবীর গোলামী" শিরক। মাবুদ শুধু একজন।

===========================

আপনারা দ্বিমত পোষণ করলে আপনাদের ভেতর লেখাপড়া জানা কেউ থাকলে আসুন আমরা এ নিয়ে বাহাস করি।

আপনি আপনার মত কুর'আনুল আজিম দিয়ে প্রতিষ্ঠা করুন, আমিও আমার মত কুর'আনুল আজিম দিয়ে প্রতিষ্ঠা করি।

লেখাপড়া জানেন কেউ? আল কুর'আনুল আজিম কখনো পড়ে দেখেছেন?

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ আউজুবিল্লাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

"আনি বুদু ললাহা ওআ-ততাকুহু ওআ-আতিউন" (সুরা নুহ, আয়াত ৩)

অর্থঃ "যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তাঁকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/71

ভয় ও এবাদত শুধু আল্লাহ তায়ালার প্রাপ্য। রাসুলুল্লাহ সাঃ কে আমরা অনুসরন করবো। কিন্ত রাসুল্লাহ সা আমাদের রব বা মালিক নন, আমরাও তার গোলাম নই।

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যে রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদের "সাহিব" বা সঙ্গীঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

"কুল ইননামা আইযুকুম বি-ওআহিদাতিন আন তাকুমু লি-ললাহি মাসনা ওআ-ফুরাদা সুমমা তাতাফাককারু মা বি-সাহিবিকুম মিন জিননাতিন ইন হুওআ ইললা নাজিরুন লাকুম বায়না য়াদায় আজাবিন শাদিদ" (সুরা সাবা, আয়াত নং ৪৬)

অর্থঃ "বল, ‘আমি তোমাদের একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছিঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুজন করে অথবা একা একা দাঁড়াও এবং চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সঙ্গী পাগল নয়। সে তো আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ককারী মাত্র।’"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/34

দেখুন আল্লাহ তায়ালা আমাদের শিখিয়েছেন যে রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদের "সাহিব বা সঙ্গী"। আপনাদের কথা মত তিনি আমাদের মালিক বা আমরা নবীজির গোলাম - এমন আল্লাহ পাক আমাদের শেখান নি।

আল্লাহ তায়ালা একই শিক্ষা আরও ইরশাদ করেছেন নিন্মোক্ত আয়াত গুলোয়ঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

১। সুরা আ'রাফ, আয়াত ১৮৪

https://www.hadithbd.com/quran/tafsir/...

২। সুরা তাওবা, আয়াত ৪০ - এ আয়াতে আবু বাকার রাঃ কে আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাহিব বলে ইরশাদ করেন

https://www.hadithbd.com/quran/tafsir/...

৩। সুরা নাজম, আয়াত ২

https://www.hadithbd.com/quran/tafsir/?sura=53

৪। সুরা তাকভির, আয়াত ২২

https://www.hadithbd.com/quran/tafsir/...

আল্লাহ আমাদের শিরক থেকে রক্ষা করুন।

অন্যরা যারা এই পোস্টে লিখেছেন তারা আমায় নানান গালি গালাজ ও বিদ্রূপ করেছেন, কিন্তু সত্যিকারের বিতর্ক কেউ করেন নি

এদিন আমি নীচের গবেষণাটি করি ও তা ফেসবুক[1], রিসার্চগেট ডট নেট[2] ও ব্লগার[3] ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি।

Rasulullah Sa: Is Our Sahib/ Companion, Not Lord[4]

Abu Raihan Muhammed Khalid

Part I

Allah Rabbul Alamin reveals- aujubillahi minashaitanir rajim, bismillahir rahmanir rahim

1.       Sura A’raf, verse 184

2.       Sura Tawba, verse 40 – Abu bakar is rasulullah’s Sahib

3.       Sura Saba, verse 46

4.       Sura Najm, verse 2

5.       Sura Takvir, verse 22

This part complete

Part II

We are not Ummat of the Prophets, but their Qwom, or People:

1.       Sura Bakara, verse 54

2.       Sura Bakara, verse 60

3.       Sura Bakara, verse 67

4.       Sura Mayedah, verse 20

5.       Sura Mayedah, verse 54- We are Qwom of Allah tayala aswell.

6.       Sura An’am 66 – Also Rasulluallah is not our Wakil, so Peers cannot be either.

7.       Sura An’am 78 –

8.       Sura An’am 80

9.       Sura An’am 83

10.   Sura An’am 133 - We are Qwom of Allah tayala aswell.

11.   Sura An’am 135

12.   Sura Ar’af 59

13.   Sura Ar’af 61

14.   Sura Ar’af 65

15.   Sura Ar’af 67

16.   Sura Ar’af 73

17.   Sura Ar’af 79

18.   Sura Ar’af 80

19.   Sura Ar’af 85

20.   Sura Ar’af 93 at p 882, Nasr, S. H., The Study Quran

Part III

We are Allah Rabbul Alamin’s Ummat/community, not Rasulullahs’

1.       Sura Bakara verse 128

2.       Sura Bakara verse 134

3.       Sura Bakara verse 141

4.       Sura Bakara verse 143

5.       Sura Al Imran, verse 104

6.       Sura Al Imran, verse 110

7.       Sura Al Imran, verse 113

8.       Sura Nisa, verse 41

9.       Sura Mayida 48

10.   Sura Mayida 66

11.   Sura An’am 38

12.   Sura An’am 108

13.   Sura A’raf 34 at page 874, Nasr, S. H., The Study Quran

14.   10:47

 

Bibliography:

1.       Ali, A.Y.(Trans.), The Meaning of The Holy Qur’an, Complete Translation with Selected Notes, The Islamic Foundation, Leicestershire, United Kingdom, reprint, 2009. ISBN 978086037-392-6.

2.       IF(Eds.), Al Qu’anul Karim, Islamic Foundation, Dhaka, 36th edition, 2007. ISBN:  984-06-0345-x.

3.       Nasr, S. H.(Chief Ed.), The Study Quran – A New Translation and Commentary, HarperOne, HarperCollins Publishers, 2015. ISBN 978–0–06–112586–7.

 

২৬.০৩.২০২২

Fahim Bin Harun নামের একজন লিখেনঃ “Raihan Khalid অল্প বিদ্যা ভয়ংকর.... সুতরাং উল্টাপাল্টা দলিল দিয়ে হাসির পাত্র হবেন না।

বান্দা আর গোলামের মধ্যে পার্থক্য আগে বুঝে আসেন।যারা আগে ক্রীতদাস ছিলো তাদের কেও গোলাম বলা হতো...কিন্তু তারা বান্দা ছিলো না।রসুলল্লাহ’(সঃ) সহ অনেক সাহাবাদেরও ক্রীতদাস বা গোলাম ছিলো।গোলাম আর বান্দা এক জিনিস নয়।বান্দা হচ্ছে যে আনুগত্য ও ইবাদত করে,আর গোলাম হচ্ছে যে শুধু আনুগত্য করে।

২৭.০৩.২০২২

মোঃ ইয়াছিন শেখ নামের একজন সুরা যুমার এর ১০ নং আয়াত এর ছবি পোস্ট করে বলেনরাসুলের গোলাম বলা শিরক না আল্লাহ তায়ালা নিজে বলেন

 

২৮.০৩.২০২২

আমি মোঃ ইয়াছিন শেখ এর লেখার জবাব দিইঃ

মোঃ ইয়াছিন শেখ ভাই সালাম। ধন্যবাদ জবাব দেয়ার জন্য। আর কেউ কোন জবাবই দিচ্ছিল না। আপনি তবু সাহস করলেন!

আপনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের আল কুর'আনুল আজিমের যে আয়াতটির কথা বলেছেন এটি সুরা যুমার এর ১০ নম্বর আয়াত।

আউজুবিল্লাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"কুল য়া-ইবাদি ললাজিনা আমানু ততাকু রাববাকুম লি-ললাজিনা আহসানু ফি হাজিহি দ-দুনয়া হাসানাতুন ওআ-আরদু ললাহি ওআসিআতুন ইননামা য়ুওআফফা স-সাবিরুনা আজরাহুম বি-ঘায়রি হিসাব"

অর্থঃ "ঘোষণা করে দাও, হে আমার বিশ্বাসী দাসগণ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। যারা এ পৃথিবীতে কল্যাণকর কাজ করে, তাদের জন্য আছে কল্যাণ। আর আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। ধৈর্যশীলদেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে।"

[তাফসীরে আহসানুল বায়ান অনুবাদ]

ভাষ্য, উচ্চারণ, ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/39

এখানে 'ইবাদি' রা আল্লাহ তায়ালার ইবাদি, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ইবাদি নয়। আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে ভাই।

কূল ইবাদি মানে যদি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ইবাদি হয়, তবে কুল হু আল্লাহ মানে কি রাসুলুল্লাহ সাঃ আল্লাহ? নাউজুবিল্লাহ!

 

২৮.০৩.২০২২ আমি ফাহিম বিন হারুন কে তার ২৬.০৩.২০২২ এর লেখার জবাবে লিখি

Fahim Bin Harun জী ভাই, আমার বিদ্যা নিতান্ত অল্প, এতে সন্দেহ কি?

প্রতিদিন কুর'আন আজিম পড়ি, আরও বহু বই পড়ি, তবু প্রায় কিছুই জানি না। আমি নিজেকেই এ কথা প্রায়ই বলে থাকি।

তবে প্রথমতঃ আপনার দাবীর স্বপক্ষে কোন দলীল দিতে পারেন? আপনার মুখের কথা মানতে রাজি নই।

আর, দ্বিতীয়তঃ আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর গোলাম হলে তিনি আমাদের কে হন? মালিক?

গোলামের বিপরীত প্রান্তে থাকেন মালিক। যে গোলাম তার মালিক থাকে।

 

২৮.০৩.২০২২ ফাহিম বিন হারুন আমায় লিখেন

Raihan Khalid আচ্ছা ভাই.....আপনি যখন নিয়মিত এতো পড়াশোনা করেন তাইলে,আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করি....রসুলল্লাহ (সঃ) বা সাহাবাদের যারা ক্রীতদাস বা গোলাম ছিলো তাদের মালিক কে ছিলো??আল্লাহ নাকি যারা তাদের ক্রয় করেছিলেন তারা??যদি আল্লাহ তাদের মালিক হয়ে থাকেন,তাহলে তাদের ক্রয়কারী মালিক হতে পারে না।আর যদি তাদের ক্রয়কারী মালিক হয়,তাহলে তো আল্লাহ কে বাদ দেওয়া হয়ে গেলো।রসুল(সঃ) এর এমন কি কোন হাদিস পাওয়া যায়...যেখানে ক্রয়কারী মালিকের আনুগত্য করতে নিষেধ করেছেন??যেহেতু মালিক একমাত্র আল্লাহ...তাইলে ক্রীতদাস কেন অন্যের গোলাম হয়ে থাকবে??

একটু দলিল সহকারে দিয়ে আমার প্রশ্নের উত্তর দিবেন প্লিজ।

 

২৮.০৩.২০২২ আমি ফাহিম বিন হারুন কে লিখি

Fahim Bin Harun যার গোলাম, সে মালিক।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর গোলামের মালিক রাসুলুল্লাহ সাঃ, হজরত ওসমানের গোলামের মালিক হজরত ওসমান।

আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর গোলাম হলে রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদের মালিক।

১। "قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى امْرَأَةٍ أَنْ مُرِي غُلاَمَكِ"

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৮/ সালাত (كتاب الصلاة)

অর্থঃ "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলার নিকট লোক পাঠিয়ে বললেনঃ তুমি তোমার গোলাম"

মুল আরবি, অনুবাদ ও প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ (গোটা হাদিসটি এখানে পড়ুন) https://www.hadithbd.com/hadith/search/?q=%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE&s=hadith&lang=all&WADbSearch1=

"গুলামাকি" শব্দ দ্বারা রাসুলুল্লাহ সাঃ মহিলাটিকে "তোমার গোলাম" বলেছেন, অর্থাৎ তার মালিকানাধীন গোলাম।

২। "কোন ব্যক্তির কোন গোলামের মালিকের সাথে এ মর্মে সুপারিশ করা সে যেন তার উপর ধার্যকৃত মাসুল কমিয়ে দেয়।

আদম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গা প্রয়োগকারী এক গোলামকে ডাকলেন। সে তাঁকে শিঙ্গা লাগাল। তিনি তাকে এক সাকিংবা দুসাঅথবা এক মুদ বা দুমুদ (পারিশ্রমিক) দিতে নির্দেশ দিলেন। এরপর তার ব্যাপারে (তার মালিকের সাথে) কথা বললেন, ফলে তার উপর ধার্যকৃত মাসুল কমিয়ে দেওয়া হল।"

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ২৯/ ইজারা (كتاب الإجارة)

মুল আরবি, অনুবাদ ও প্রাসঙ্গিক তথ্যঃ https://www.hadithbd.com/hadith/search/?q=%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE+%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95&s=hadith&lang=all&WADbSearch1=

এখানে হাদিসটির 'বাব' এর নামে মুল আরবিতে সাহাবা জনাব আনাস ইবন মালিকের ভাষায় " مَوَالِيَ الْعَبْدِ" বা "মাওয়ালিয়াল আবদি" উল্লেখিত রয়েছে।

মাওয়ালি এর বাংলা অনুবাদক করেছেন মালিক।

এটি শুদ্ধ রূপ বলে দেখতে পাচ্ছি। দেখা যায় আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন সুরা নিসা এর ৩৩ নং আয়াতে 'মাওয়ালি' শব্দটি মালিক (ঐ ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার সুত্রে মালিক) অর্থে ব্যবহার করেছেনঃ

আউজুবিল্লাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ওআ-লি-কুললিন জাআলনা মাওআলিয়া মিমমা তারাকা ল-ওআলিদানি ওআ-ল-আকরাবুনা ওআ-ললাজিনা আকাদাত আয়মানুকুম ফা-আতুহুম নাসিবাহুম ইননা ললাহা কানা আলা কুললি শায়িন শাহিদা"

অর্থঃ "পিতা-মাতা এবং নিকটাত্নীয়গণ যা ত্যাগ করে যান সেসবের জন্যই আমি উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে দিয়েছি" (শুধু সংশ্লিষ্ট অংশের অনুবাদ)

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/4

বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত ওয়েবপেজে আয়াতটির তাফসীরে আহসানুল বায়ানকৃত তাফসীরে 'মাওয়ালি' শব্দের বিভিন্ন অর্থ দেখুন। এখানে উত্তরাধিকারী অর্থে ব্যবহৃত।

***************************************************

আর আপনার প্রশ্ন "যদি আল্লাহ তাদের মালিক হিয়ে থাকেন,তাহলে তাদের ক্রয়কারী মালিক হতে পারে না।আর যদি তাদের ক্রয়কারী মালিক হয়,তাহলে তো আল্লাহ কে বাদ দেওয়া হয়ে গেলো।"

উত্তরঃ মানুষের ভাষায় মালিক দুই ধরনের। এক আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের ক্ষেত্রে- যেমন আপনি একটি মোবাইল ফোনের মালিক।

দুই, দীনের ক্ষেত্রে- সেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আসমান, জমিন ও এই দুইয়ের মধ্যবর্তী সকল কিছুর মালিক।

তাই গোলামদের জাগতিক মালিক যিনি আইনগত ভাবে কাগজেপত্রে তার মালিক তিনি, আর দীনের ক্ষেত্রে তার মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরই আমাদের জাগতিক সম্পদের 'মালিক' বলে উল্লেখ করেছেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"আ-ওআ-লাম য়ারাও আননা খালাকনা লাহুম মিমমা আমিলাত আয়দিনা আনামান ফা-হুম লাহা মালিকুন"

সুরা ইয়াসিন, আয়াত নং ৭১।

অর্থঃ "ওরা কি লক্ষ্য করে না যে, আমি নিজ হাতে যা সৃষ্টি করেছি তার মধ্যে ওদের জন্য সৃষ্টি করেছি পশু এবং ওরাই এগুলির মালিক?"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/36

জাজাকাল্লাহু খাইরান।

 

২৮.০৩.২০২২ রাতে Fahim Bin Harun আমাকে লিখেন

এইতো এখন লাইনে আসছেন....তাইলে তারা যে রসুল(সঃ) বা হযরত উসমান এর গোলামি করলো তারা কি শিরক করলো??

রসুল(সঃ) এর কোন হাদিস থেকে কি এরকম কিছু পাওয়া যায়??

Raihan Khalid ভাই...আপনার রেফারেন্সকৃত হাদিসে রসুল(সঃ) কি বলেছেন দেখেন।এখানে তিনি বলেছেন গুলামাকি যার অর্থ তোমার গোলাম।

তাইলে বক্তা রসুলল্লাহ(সঃ) এর গোলাম বললে শিরক হয় কেমনে??একটু দলিল সহকারে বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।

 

২৯.০৩.২০২২

আমি লিখিঃ

Fahim Bin Harun ভাই, সালাম। ধন্যবাদ এখনও আলোচনায় থাকার জন্য। বেশীরভাগ মানুষ দেখেছি সরে যান।

আপনার ২ টি প্রশ্নঃ

১। রাসুলুল্লাহ সাঃ "বলেছেন গুলামাকি যার অর্থ তোমার গোলাম।তাইলে বক্তা রসুলল্লাহ(সঃ) এর গোলাম বললে শিরক হয় কেমনে?"

২। "তাইলে তারা যে রসুল(সঃ) বা হযরত উসমান এর গোলামি করলো তারা কি শিরক করলো??"

জবাবঃ

১। আপনার এই ২ প্রশ্নের জবাব আমি গতকাল ২৮.০৩.২০২২ তারিখেই দিয়েছি। আমার লেখার নীচের অংশে তারকা চিহ্নিত রেখার নীচে। আপনি হয়তো সবটুকু পড়েননি।

আবার বলছি।

মানুষের ভাষায় মালিক দুই ধরনের।

একঃ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের ক্ষেত্রে সম্পদের মালিকানা- যেমন আপনি একটি মোবাইল ফোনের মালিক।

দুইঃ দীনের ক্ষেত্রে- সেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আসমান, জমিন ও এই দুইয়ের মধ্যবর্তী সকল কিছুর মালিক (দেখুন, যেমন, সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৫ সহ বহু আয়াত)। আল্লাহ তায়ালা ইহকাল ও পরকালের মালিক (সুরা লাইল, আয়াত ১৩)

তাই গোলামদের জাগতিক মালিক যিনি আইনগত ভাবে কাগজেপত্রে তার মালিক তিনি; আর দীনের ক্ষেত্রে তার মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরই আমাদের জাগতিক সম্পদের 'মালিক' বলে উল্লেখ করেছেনঃ আউজুবিল্লাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"আ-ওআ-লাম য়ারাও আননা খালাকনা লাহুম মিমমা আমিলাত আয়দিনা আনামান ফা-হুম লাহা মালিকুন"

সুরা ইয়াসিন, আয়াত নং ৭১।

অর্থঃ "ওরা কি লক্ষ্য করে না যে, আমি নিজ হাতে যা সৃষ্টি করেছি তার মধ্যে ওদের জন্য সৃষ্টি করেছি পশু এবং ওরাই এগুলির মালিক?"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/36

২। না তাঁরা শিরক করেন নি। আপনি একটি মোবাইল টেলিফোনের মালিক, বা বাড়ির মালিক বললে তা শিরক হয়না, কারন আল্লাহ্‌ তায়ালাই আমাদের দীনের ও সম্পত্তির মালিকানার পার্থক্য শিখিয়েছেন , দ্রঃ সুরা ইয়াসিন, আয়াত নং ৭১।

আর চূড়ান্ত জবাব হচ্ছে আল্লাহ পাক পরিষ্কার করে উল্লেখ করেছেন আল কুর'আনুল আজিমে যে তিনিই আমাদের মালিকঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"কুল আউজু বি-রব্বিন-নাস" সুরা নাস, আয়াত ১

"মালিকিন-নাস" সুরা নাস, আয়াত ২

অর্থঃ "বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার"

"মানুষের অধিপতির,"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ

https://quranhadithbd.com/sura/114

এর পরে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে আমাদের মালিক বললে, অর্থাৎ আমাদের তাঁর গোলাম বললে শিরক হয়।

গোলাম বা গুলাম শব্দের দ্বিতীয় অর্থঃ

======================

আল্লাহ্‌ তায়ালা আল কুর'আনুল আজিমে গুলাম শব্দটি পুত্র বা সন্তান অর্থে ব্যবহার করেছেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ফা-বাশশারনাহু বি-ঘুলামিন হালিম"

সুরা সাফফাত, আয়াত ১০১ (আংশিক উদ্ধৃত)

অর্থঃ "সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/37

প্রশ্ন আসে, আমরা কি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সন্তান অর্থে তাঁর গোলাম?

এর উত্তর আল্লাহ তায়ালা এটি পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদের পিতা নন, সুতরাং আমরা তাঁর গোলাম নই।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"মা কানা মুহাম্মাদুন আবা আহাদিম্মির রিজালিকুম" সুরা আহজাব, আয়াত ৪০, আংশিক উদ্ধৃত

অর্থঃ "মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/33

কোন প্রশ্ন থাকলে দয়া করে জানান।

অনেক মানুষকে সারা জীবন ধরে কুর'আন আজিম বুঝালেও তাদের হিদায়াত হবে না। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ইন্নাল্লাজিনা কাফারু সাওআউন আলায়হিম আআনজারতাহুম আম লাম তুনজিরহুম লা ইয়ুমিনুন" "খাতামা ললাহু আলা কুলুবিহিম ওআ-আলা সামিহিম ওআ-আলা আবসারিহিম ঘিশাওআতুন ওআ-লাহুম আজাবুন আযিম" সুরা বাকারা, আয়াত ৬, https://quranhadithbd.com/sura/2

 

সে একই দিন রাতে Fahim Bin Harun আমাকে লিখেনঃ

Raihan Khalid ভাই দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আপনার যুক্তি আমার মনমতো হলো না।প্রথমত, আপনি বললেন মালিক ২ প্রকার।এটা কোন কিতাবে আছে একটু রেফারেন্স দিবেন প্লিজ।

দ্বিতীয়ত,আপনি যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করলেন মোবাইলের মালিকানা।মানুষের মালিকানার প্রশ্নে মোবাইলের মালিকানার যুক্তি সম্পূর্ণ বেমানান।মোবাইল কিংবা প্রাত্যহিক জীবনের সম্পদগুলো তো আর কারো ইবাদত করতে পারে না।সুতরাং তাদেরকে গোলামের সংজ্ঞার বাহিরে রাখতে হবে।যে ইবাদত করতে পারে,তার ই শিরক হবে।

এখন আমি আমার কথায় আসি....ইবাদতের ক্ষেত্রে আমরা সবাই আল্লাহ কে একমাত্র মালিক হিসেবে মানি।সেটা নিয়ে কেউ কোন দ্বিমত পোষণ সে অবশ্যই কাফের।কিন্তু এখানে রাসুল(সঃ) এর ক্ষেত্রে ইবাদতের অর্থে গোলাম শব্দটি ব্যবহৃত হয় নি।

আমি আপনাকে আবারও বুঝিয়ে বলছি...যে ইবাদত করে তাকে আরবী তে আবদ বলে, বাংলায় যেটার অর্থ হয় বান্দা।কিন্তু গোলাম এর অর্থ হলো দাস,যে কিনা আনুগত্য স্বীকার করবে,কিন্তু ইবাদত করা বাধ্যতামূলক নয়।রাসুল(সঃ) এর গোলাম বলতে এটা বুঝানো হয়েছে...একজন ক্রীতদাস যেমন তার মনিবের সকল আদেশ বিনাশর্তে মেনে চলে....তেমনি ভাবে আমাদেরও রসুলের ক্রীতদাসের মতোই সকল আদেশ নিষেধ বিনাশর্তে মেনে চলতে হবে।

আমি আবারও বলছি....কেউ রসুল(সঃ) এর আবদ বা বান্দা বলে না।কারন রাসুল(সঃ) এর ইবাদত কেউ করে না।ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য।

 

৩০.০৩.২০২২

আমি Fahim Bin Harun কে লিখি

ভাই, সালাম।

আপনি বলেছেনঃ

১। "প্রথমত,আপনি বললেন মালিক ২ প্রকার।এটা কোন কিতাবে আছে একটু রেফারেন্স দিবেন প্লিজ।"

জবাবঃ মালিকানা ২ প্রকার এটা আল্লাহ্‌ তায়ালাই আল কুর'আনুল আজিমে বলেছেন। আল্লাহ আমাদের মালিকঃ সুরা বাকারা আয়াত ২৫৫।

আর আমাদের জাগতিক সম্পদের মালিক আমরাঃ সুরা ইয়াসিন, আয়াত নং ৭১।

২। "মোবাইল কিংবা প্রাত্যহিক জীবনের সম্পদগুলো তো আর কারো ইবাদত করতে পারে না।সুতরাং তাদেরকে গোলামের সংজ্ঞার বাহিরে রাখতে হবে।"

জবাবঃ আগের দিনে মানুষ মানুষের মালিক হতো, তাদের গোলাম বা দাস বলা হতো।

সুত্রঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), অধ্যায়ঃ ৮/ সালাত এর উপরোক্ত হাদিস।

সুতরাং তেমন মানুষদের গোলামের সংজ্ঞার ভেতরেই রাখতে হবে। একজনের মালিকানার মোবাইল গোলাম নয়, কিন্তু একজনের মালিকানার মানুষ গোলাম হয়।

৩। আপনি বলেছেনঃ "রাসুল(সঃ) এর গোলাম বলতে এটা বুঝানো হয়েছে...একজন ক্রীতদাস যেমন তার মনিবের সকল আদেশ বিনাশর্তে মেনে চলে....তেমনি ভাবে আমাদেরও রসুলের ক্রীতদাসের মতোই সকল আদেশ নিষেধ বিনাশর্তে মেনে চলতে হবে।"

জবাবঃ আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আদেশ মানবো না, আদেশ করার মালিক শুধু আল্লাহ তায়ালা। এটি একটি বিশাল ভ্রান্তি, যাতে বহু মানুষ শিরকের গুনাহ করে চলছেন না জেনে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুরা ইউসুফে বিধান দেয়ার ক্ষমতা যে শুধু তাঁর একার, এটি আবারো পরিষ্কার করে দিয়েছেন- আউজুবিলাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

"মা তাবুদুনা মিন দুনিহি ইললা আসমাআন সামমায়তুমুহা আনতুম ওআ-আবাউকুম মা আনযালা ললাহু বিহা মিন সুলতানিন ইনি ল-হুকমু ইললা লি-ললাহি আমারা আললা তাবুদু ইললা ইয়য়াহু জালিকা দ-দিনু ল-কায়য়িমু ওআ-লাকিননা আকসারা ন-নাসি লা য়ালামুন" সুরা ইউসুফ, আয়াত ৪০

অর্থঃ "তাকে ছেড়ে তোমরা শুধু এমন কতকগুলি নামের উপাসনা করছ যা তোমরা এবং তোমাদের পিতৃপুরুষরা রেখে নিয়েছ। এইগুলির কোন প্রমাণ আল্লাহ অবতীর্ণ করেননি। বিধান দেওয়ার অধিকার শুধু আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া আর কারোও উপাসনা করবে না। এটাই সরল-সঠিক দ্বীন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটা অবগত নয়।" [তাফসীরে আহসানুল বায়ান অনুবাদ]

ভাষ্য, উচ্চারণ, ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/12

লক্ষ্য করুন আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন "ইনি ল-হুকমু ইললা লি-ললাহি", অর্থাৎ "বিধান দেওয়ার অধিকার শুধু আল্লাহরই"। আর কেউ, এমনকি নবী রসূলগনও, হুকুম বা আদেশ দিতে বা নিষেধ জারি করতে পারেন না।

যারা আল-কুরআন ব্যতিত মানুষের কথা, মানুষের সিদ্ধান্ত দ্বারা দীন ও শরীয়ত নির্ধারণ করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁদের কাফের ঘোষণা করেছেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ফা-লা তাখশাওউ ন-নাসা ওআ-খশাওনি ওআ-লা তাশতারু বি-আয়াতি সামানান কালিলান ওআ-মান লাম য়াহকুম বি-মা আনযালা ললাহু ফা-উলাইকা হুমু ল-কাফিরুন; ওআ-মান লাম য়াহকুম বি-মা আনযালা ললাহু ফা-উলাইকা হুমু ল-কাফিরুনসুরা মায়েদা, আয়াত নং ৪৪, শেষ অংশ।

অর্থঃ সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াতসমূহের বিনিময়ে সামান্য মূল্য ক্রয় করো না। আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে ফয়সালা করে না, তারাই কাফির।

ভাষ্য, উচ্চারণ, ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/5

জাজাকাল্ললাহু খাইরান।

 

৩১.০৩.২০২২

আমি লিখি

৩১,০৩,২০২২, ১ম খণ্ড

ভাই, সালাম।

ধন্যবাদ কুর'আনুল আজিম থেকে যুক্তি দেয়ার জন্য।

আপনার জবাবঃ

১। আপনি বলেছেনঃ "ভাই প্রথমত, আপনার রেফারেন্সকৃত হাদিস মতেই তো মানুষ মানুষের গোলাম হতে পারে।তাইলে আমরা রসুল(সঃ) এর গোলাম হলে সমস্যা কি??"

জবাবঃ আমরা দেখিয়েছি আল্লাহ তায়ালা আমাদের শিখিয়েছেন মালিকানা দুই প্রকারের, দুনিয়ার ও দীনের।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর গোলাম তো ছিলই। বিবি খাদিজার সাথে বিবাবের সময় বিবি খাদিজা তাঁর স্বামিকে গোলাম হিসাবে যায়িদ ইবনু হারিসাকে উপহার দেন।

(সুত্রঃ Muhammad ibn Jarir al-Tabari. Tarikh al-Rusul wa'l-Muluk. Translated by Landau-Tasseron, E. Volume 39: The Biographies of the Companions and Their Successors. Albany: State University of New York Press, উইকিপিডিয়ায় উদ্দ্রিতঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Zayd_ibn_Harithah)

যায়িদ ইবনু হারিসা ছিলেন রাসুলুল্লাহ সাঃ এর গোলাম।

সুত্রঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير)

http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=4702

পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মদিনার গৃহেও গোলাম গৃহকর্মে নিযুক্ত ছিলেন।

কিন্তু সে যুগের নিয়ম অনুযায়ী এঁরা ছিলেন জাগতিক সম্পদ, রাসুলুল্লাহ সাঃ ছিলেন তাঁদের মালিক। যে রকম আমরা জমি বা অন্য কিছুর মালিক হই।

কিন্তু দীনের ক্ষেত্রে মালিক আর এক বিষয়। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা সবার মালিক (সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৫), আর সকল মাখলুক বা সৃষ্ট সত্ত্বা সমান। (সুরা আন'আম, আয়াত ৩৮)। কেউ কারো মালিক নয়।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ আউজুবিল্লাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ওআ-ততাখাজু মিন দুনিহি আলিহাতান লা য়াখলুকুনা শায়ান ওআ-হুম য়ুখলাকুনা ওআ-লা য়ামলিকুনা লি-আনফুসিহিম দাররান ওআ-লা নাফান ওআ-লা য়ামলিকুনা মাওতান ওআ-লা হায়াতান ওআ-লা নুশুরা" সুরা ফুরকান, আয়াত ৩

অর্থঃ "তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজেদের ভালও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনের ও তারা মালিক নয়।"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/25

রাসুলুল্লাহ সাঃ তাঁর কেনা গোলামদের মালিক ছিলেন, মুসলমানদের মালিক নন। মুসলমানের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।

আশা করি পরিষ্কার হয়েছে।

৩১,০৩,২০২২ ২য় খণ্ড

২। আপনি আল কুর'আন আজিম থেকে ৩ খানি আয়াত উদ্ধৃত করে জানতে চেয়েছেন

"সুতরাং,রসুলের আদেশ ই যদি আল্লাহর আদেশ হয়ে থাকে....তাহলে রাসুল সাঃ এর সকল আদেশ নিষেধ ক্রীতদাস এর মতো মেনে চলতে সমস্যা কোথায়??"

জবাবঃ আলহামদুলিল্লাহ, আপনি কুর'আন পড়ছেন। সবই ঠিক আছে, শুধু একটি বিষয়ে আপনার বোঝায় ত্রুটি আছে।

আপনার আয়াত ৩ টির প্রকৃত অর্থঃ

(১) সুরা নাজম, আয়াত ৩,৪। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ওআ-মা য়ানতিকু আনি ল-হাওআ" আয়াত ৩

"ইন হুওআ ইললা ওআহয়ুন য়ুহা" আয়াত ৪

অর্থঃ "এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।" আয়াত ৩

"তা তো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।" আয়াত ৪

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/53

(২) সুরা নূর, আয়াত ৫৪ঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"কুল আতিউ ললাহা ওআ-আতিউ র-রাসুলা ফা-ইন তাওআললাও ফা-ইননামা আলায়হি মা হুমমিলা ওআ-আলায়কুম মা হুমমিলতুম ওআ-ইন তুতিউহু তাহতাদু ওআ-মা আলা র-রাসুলি ইললা ল-বালাঘু ল-মুবিন"

অর্থঃ "বল, ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর।তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে সে শুধু তার উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী। আর যদি তোমরা তার আনুগত্য কর তবে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর রাসূলের দায়িত্ব শুধু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া।"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/24

(৩) সুরা নিসা, আয়াত ৮০ঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"মান য়ুতী র-রাসুলা ফা-কাদ আতাআ ললাহা ওআ-মান তাওআললা ফা-মা আরসালনাকা আলায়হিম হাফিযা"

অর্থঃ "যে রসূলের আনুগত্য করল, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে মুখ ফিরিয়ে নিল, আমি তাদের উপর তোমাকে প্রহরীরূপে প্রেরণ করিনি।"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/4

জবাবঃ

দেখুন প্রতিটি আয়াতেই আসলে তার অর্থ দেয়াই আছে। আমরা ভালো করে পড়িনা।

সুরা নাজমের ৪ নং আয়াতেই বলা আছে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কথার যে অংশ ওহী, এখানে তার কথা বলা হচ্ছে। একই সুরার পরবর্তী ৫,, ও ৭ নং আয়াত দেখুন।

"আললামাহু শাদিদু ল-কুওআ (৫); জু মিররাতিন ফা-সতাওআ (৬); ওআ-হুওআ বি-ল-উফুকি ল-আলা (৭)"

অর্থঃ "তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা (৫); সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল (৬); উর্ধ্ব দিগন্তে (৭)"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/53

তার মানে এখানে মালাইকা জিবরীল এর রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নিকট আল কুর'আনুল আজিম নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে। হেরা গুহায় প্রথম ওহী আনার দিন রাসুলুল্লাহ সাঃ মালাইকা জিবরীলকে উর্ধ্ব দিগন্তে তাঁর নিজ আকৃতিতে দেখেছিলেন ও ভয় পেয়েছিলেন।

আল্লাহ তায়ালা বর্ণীত উপরোক্ত ঘটনাটি হাদিস শরিফেও সংরক্ষিত হয়েছে, দেখুনঃ বুখারী শরীফ, ইসলামিক ফাউনডেশন, ২০১৩, কিতাবু বাদইল ওয়াহি, হাদিস নং ৩। এখানেও পাবেনঃ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=4896

সুরা নূর এর ৫৪ নং আয়াতের শেষ অংশ দেখুনঃ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করছেন " আর রাসূলের দায়িত্ব শুধু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া" - এর অর্থ রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজে থেকে কিছু বলবেন না, শুধু আল্লাহ পাক তাঁকে যা বলতে হুকুম করবেন তিনি তাই বলবেন, আর সে হুকুম আছে আল কুর'আনুল আজিমে।

তাই সুরা সুরা নিসা, আয়াত ৮০ তে আল্লাহ পাক বলেন রাসুলুল্লাহ সাঃ আনুগত্য করার অর্থ আল্লাহ্‌র আনুগত্য করা, কারন তা আসলে আল কুর'আনুল আজিমে আল্লাহ তায়ালার হুকুমের আনুগত্য করা, রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজের কথার আনুগত্য নয়।

৩১,০৩,২০২২ ৩য় খণ্ড

রাসুলুল্লাহ সাঃ দীনের হিদায়াত বা আল কুর'আনুল আজিম পৌঁছে দেয়ার বাইরে বহু কাজে জড়িত ছিলেন। তাঁর এসব কাজের বিশুদ্ধতার দাবী আল্লাহপাক করেন নি।

বরং আল কুর'আনুল আজিমে আল্লাহ পাক অন্তত ৩ স্থানে রাসুলুলাহ সাঃ এর কর্মে অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। ইনা লিল্ললাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাজে আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টি - উদহারন নং ১। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"আবাসা ওআ-তাওআললা, সুরা আবাসা, [আয়াত ১]

আন জাআহু ল-আয়মা, [আয়াত ২]

ওআ-মা য়ুদরিকা লাআললাহু য়াযযাককা, [আয়াত ৩]

আও য়াজজাককারু ফা-তানফাআহু জ-জিকরা, [আয়াত ৪]

আমমা মানি সতাঘনা, [আয়াত ৫]

ফা-আনতা লাহু তাসাদদা, [আয়াত ৬]

ওআ-মা আলায়কা আললা য়াযযাককা, [আয়াত ৭]

ওআমমামান জাআকা য়াসআ, [আয়াত ৮]

ওআ-হুওআ য়াখশা, [আয়াত ৯]

ফা-আনতা আনহু তালাহহা, [আয়াত ১০]

কাললা ইননাহা তাজকিরা, [আয়াত ১১]

অর্থঃ "সে ভ্রু কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিলো (১), যেহেতু তার নিকট এক অন্ধ আগমন করেছিল (২), তুমি কেমন করে জানবে সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত (৩), অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে উপদেশ তার উপকারে আসতো (৪), পক্ষান্তরে যে পরওয়া করেনা (৫), তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিলে (৬), অথচ সে পরিশুদ্ধ না হলে তোমার কোন দোষ নেই (৭), পক্ষান্তরে যে লোক তোমার কাছে ছুটে আসল (৮), আর সে সসঙ্কচিত্ত (৯), তুমি তার প্রতি অমনোযোগী হলে (১০), না, এই আচরণ অনুচিত, এটাতো উপদেশ বাণী (১১)

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/80

এই বর্ণীত অন্ধ ব্যাক্তিটি ছিলেন "ইবনে উম্মে মাকতূম"।

সুত্রঃ দেখুন ২ নং আয়াতের তাফসীরে ব্যাখ্যাঃ https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=5760

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাজে আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টি - উদহারন নং ২।

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"য়া-আয়য়ুহা ন-নাবিয়য়ু লি-মা তুহাঋমু মা আহাললা ললাহু লাকা তাবতাঘি মারদাতা আযোআজিকা ওআ-ললাহু ঘাফুরুন রাহিম" সুরা আত-তাহরিম, আয়াত ১

অর্থঃ "হে নবী, আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছ?" (প্রথমাংশ)

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/66

একদিন রাসুলুল্লাহ সাঃ তাঁর এক স্ত্রী যায়নাব বিনতে জাহশ এর গৃহে 'মাগাফির' নান্মিয় কড়া গন্ধযুক্ত মধু পান করেন। তাতে অন্য স্ত্রীগণ "ঈর্ষা" বোধ করে তাঁকে এই মধু পান আর করবেন না এমন প্রতিজ্ঞা করতে বাধ্য করেন। এই প্রেক্ষিতে আল্লাহ ত্যাল অসন্তুষ্ট হন।

সূত্রঃ দেখুন নিচের পাতায় এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বর্ণীত হাদিস সমুহঃ https://www.hadithbd.com/quran/tafsir/?sura=66

 

 Fahim Bin Harun ৩১,০৩,২০২২ ৪র্থ খণ্ড

৩। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাজে আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টি - উদহারন নং ৩ঃ

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"মা কানা লি-নাবিয়য়িন আন য়াকুনা লাহু আসরা হাততা য়ুসখিনা ফি ল-আরদি তুরিদুনা আরাদা দ-দুনয়া ওআ-ললাহু য়ুরিদু ল-আখিরাতা ওআ-ললাহু আযিযুন হাকিম", সুরা আন-ফাল, আয়াত ৬৭

অর্থঃ "নবীর পক্ষে উচিত নয় বন্দীদিগকে নিজের কাছে রাখা, যতক্ষণ না দেশময় প্রচুর রক্তপাত ঘটাবে। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর, অথচ আল্লাহ চান আখেরাত। আর আল্লাহ হচ্ছেন পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা।"

ভাষ্য, উচ্চারণ ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/8

বদর যুদ্ধের পর মুক্তিপন নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক মক্কার কুরাইশদের ছেড়ে দিয়েছিলেন। আল্লাহ পাক এতে অসন্তুষ্ট হন।

দেখুনঃ "উমার (রাঃ) প্রভৃতিগণ নবী (সাঃ)-কে এই পরামর্শ দিলেন যে, কুফরের শক্তি ও প্রতাপকে ভেঙ্গে ফেলা দরকার আছে। এই জন্য বন্দীদেরকে হত্যা করা হোক। কেননা, এরা হল কুফর ও কাফেরদের প্রধান ও সম্মানিত ব্যক্তি। এরা মুক্তি পেলে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে অধিকরূপে চক্রান্ত চালাবে। পক্ষান্তরে আবু বাকর (রাঃ) প্রভৃতিগণ উমার (রাঃ)-এর রায়ের বিপরীত রায় পেশ করলেন যে, তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ (বিনিময়) নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হোক। আর ঐ মাল দ্বারা আগামী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হোক। নবী (সাঃ) এই রায়কে প্রাধান্য দিলেন।"

সুত্রঃ তাফসীরে আহসানুল বায়ান কৃত ব্যখ্যাঃ https://www.hadithbd.com/quran/filter/?sura=8...

=============================

তাহলে দেখা গেল রাসুলুল্লাহ সাঃ আল কুর'আনের যেসব বানী আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন তা আল্লাহ তায়ালার ওহী, এবং আল্লাহ তা নির্ভুল ভাবে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নিকট পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।

অন্য দিকে রাসুলুল্লাহ সাঃ কুর'আন পৌঁছে দেয়া ছাড়াও আরও বহু কর্ম একজন মানুষ হিসাবে স্বাভাবিক ভাবেই করতেন। তাঁর সেসব কাজে অন্য নবী রসুলদের যেমন ভুল ত্রুটি হয়েছে তাঁর ও ভুল ত্রুটি হয়েছে বলে আল্লাহ পাক স্বাক্ষি দিচ্ছেন।

 

০১.০৪.২০২২

Fahim Bin Harun লিখেনঃ

“Raihan Khalid

ভাই,প্রথমত আমি আগেই আপনাকে রেফারেন্স দিয়েছি....রাসুল সাঃ আল্লাহর আদেশ ব্যতিত কোন কিছুই করেন না বা বলেন না।সুতরাং,এখানে এই প্রশ্ন ই আসে না যে আল্লাহর আদেশ ব্যতিত রাসুল সাঃ এর নিজের কোন আদেশ থাকতে পারে।

আমি আপনার এক একটি করে আয়াতের বিশ্লেষণ করে জবাব দিবো ইনশাআল্লাহ।আপনি স্পষ্টত ই বলেছেন রাসুল সাঃ এর প্রতি আল্লাহ অসন্তোষ ছিলেন(নাউজুবিল্লাহ)আসলে আপনার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা শুধুমাত্র বাংলা তরজমা করা কিতাব গুলোর মধ্যেই।আপনার উচিত,শুধুমাত্র আপনার শায়েখদের কিতাব না পড়ে অন্যন্য আরো ভালো ভালো আলেমদের কিতাব থেকেও রিসার্চ করা।

সমস্ত নবী রাসুল নিষ্পাপ। এটি কোরআন, হাদিস, উম্মতের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত ও অকাট্য যুক্তির আলোকে প্রমাণিত। তবে কিছু আয়াতে যে নবীদের তাওবা, ইস্তেগফার কবুল করা সংক্রান্ত এসেছে,তার মানে হলো বৈধতার সীমায় অবস্থান করে নবীরা যদি নিজস্ব ইজতিহাদ বা চিন্তার ভিত্তিতে কোনো অনুত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, আল্লাহ তাআলা সেটিও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন।

যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। সব নবী ও রাসুল নিষ্পাপ ছিলেন। কোনো নবীকে গুনাহগার বা কোনো কাজে আল্লাহর অবাধ্য মনে করলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে।

কাজি আয়াজ (রহ.) লিখেছেন : নবীগণ মাসুম তথা নিষ্পাপ হওয়ার বিষয়ে গোটা মুসলিম উম্মাহ ঐকমত্য রয়েছে।

সুরা বাকারার ৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَ قُلۡنَا یٰۤاٰدَمُ اسۡکُنۡ اَنۡتَ وَ زَوۡجُکَ الۡجَنَّۃَ وَ کُلَا مِنۡہَا رَغَدًا حَیۡثُ شِئۡتُمَا ۪ وَ لَا تَقۡرَبَا ہٰذِہِ الشَّجَرَۃَ فَتَکُوۡنَا مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۳۵

এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম যে তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাকো এবং ওখানে যা চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাকো, কিন্তু এই গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। অন্যথায় তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে।

فَاَزَلَّہُمَا الشَّیۡطٰنُ عَنۡہَا فَاَخۡرَجَہُمَا مِمَّا کَانَا فِیۡہِ ۪ وَ قُلۡنَا اہۡبِطُوۡا بَعۡضُکُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ ۚ وَ لَکُمۡ فِی الۡاَرۡضِ مُسۡتَقَرٌّ وَّ مَتَاعٌ اِلٰی حِیۡنٍ ﴿۳۶

শয়তান তাদের উভয়কে ওখান থেকে পদস্খলিত করেছিল। পরে তারা যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল, তা থেকে তাদের বের করে দিল এবং আমি বললাম, তোমরা নেমে যাও, তোমরা পরস্পর একে অপরের শত্রু হবে এবং তোমাদের সেখানে কিছুকাল অবস্থান করতে হবে ও লাভ সংগ্রহ করতে হবে।

নবীগণ পাপ থেকে বিমুক্ত ও পবিত্র।

চার ইমাম ও উম্মতের সম্মিলিত অভিমতেও নবীগণ ছোট-বড় যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত ও পবিত্র। এ ধরনের ঘটনাবলি সম্পর্কে উম্মতের সর্বসম্মত অভিমত এই যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা অনিচ্ছাকৃত কারণে নবীদের দ্বারা এ ধরনের কাজ সংঘটিত হয়ে থাকবে। কোনো নবী (আ.) জেনেশুনে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহপাকের হুকুমের পরিপন্থী কোনো কাজ করেননি। এ ত্রুটি ইজতেহাদগত ও অনিচ্ছাকৃত এবং তা ক্ষমাযোগ্য।

আরেক টি কথা না বললেই নয়....রাসুল সাঃ এর জীবনী থেকেই সুন্নত এসেছে।আপনি যদি বলেন রাসুল সাঃ আল্লাহর অসন্তোষ এর স্বীকার হয়েছেন....তাহলে আল্লাহ কেন রাসুল সাঃ কে অনুসরণ এর কথা বলবেন??যেহেতু আল্লাহ কুরআন শরীফ এ বলেছেন,তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো,আল্লাহর রাসুল সাঃ এর আনুগত্য করো।আল্লাহ রাসুল সাঃ এর প্রতি অসন্তোষ হলে এ কথা কখনোই বলতেন না।আপনার আক্বীদায় অনেক ভুল রয়েছে।

 

০২.০৪.২০২২

Fahim Bin Harun ০২.০৪.২০২২ ১ম খণ্ড

ভাই সালাম। আপনি আলোচনায় আছেন এবং পবিত্র কুর'আন মজিদ অনুধাবনের চেষ্টা করছেন, এর জন্য মোবারকবাদ। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে হিদায়াত নসিব করুন।

১। আপনি বলেছেনঃ

"আপনার উচিত,শুধুমাত্র আপনার শায়েখদের কিতাব না পড়ে অন্যন্য আরো ভালো ভালো আলেমদের কিতাব থেকেও রিসার্চ করা।"

জবাবঃ আমি বহু বইই পড়ি তবে ইসলাম ধর্ম বিজ্ঞানের জন্য আল- কুর'আন আজিমের বাইরে কেবল ইতিহাসের জন্য ইতিহাসের বই, যেমন হাদিস শরীফ, সীরা - এসব কিছু ব্যবহার করি।

আইন শুধু আল-কুর'আনের।

আর, আমার শায়খ আল- কুর'আনু আজিম। আর কোন শায়খ নেই।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ আউজুবিল্লাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ইননা হাজা ল-কুরানা য়াহদি লি-ললাতি হিয়া আকোআমু ওআ-য়ুবাশশিরু ল-মুমিনিনা ললাজিনা য়ামালুনা স-সালিহাতি আননা লাহুম আজরান কাবিরা" সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৯।

অর্থঃ "নিশ্চয় এ কুরআন হিদায়াত করে সে পথের দিকে যা আকওয়াম (সরল, সুদৃঢ়) এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।"

ভাষ্য, উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/17

দেখুন, আল্লাহ পাক কুর'আন আজিমকেই পীর, মুরশিদ, আলেম ও আল্লাহ্‌র পথে 'দায়ী ইলাল্লাহ' করে দিয়েছেন আমাদের জন্য।

২। আপনি বলেছেনঃ

"সমস্ত নবী রাসুল নিষ্পাপ। এটি কোরআন, হাদিস, উম্মতের ঐকমত্য সিদ্ধান্ত ও অকাট্য যুক্তির আলোকে প্রমাণিত।"

জবাবঃ এটি একটি ভ্রান্ত ধারনা, ও এই ধারনা মানুষের মনগড়া, কারন এটি আল্লাহ্‌ পাক আমাদের শেখান নি।

আপনি নিজেই উল্লেখ করেছেন সুরা বাকারার ৩৫ ও ৩৬ নং আয়াত যেখানে আল্লাহ পাক পরিষ্কার উল্লেখ করেছেন যে আদাম আঃ শয়তানের ওয়াসওয়ার শিকার হয়েছিলেন এবং আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা করা হারাম কর্ম (আয়াত ৩৫) করেছেন।

সুরা বাকারা, আয়াত ৩৫ ও ৩৬ঃ এখানে https://quranhadithbd.com/sura/2

আদম আঃ আল্লাহ তায়ালার অবাধ্যতা করেছেন বলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ফা-আকালা মিনহা ফা-বাদাত লাহুমা সাওআতুহুমা ওআ-তাফিকা য়াখসিফানি আলায়হিমা মিন ওআরাকি ল-জাননাতি ওআ-আসা আদামু রাববাহু ফা-ঘাওআ" - সুরা তা-হা, আয়াত ১২১।

অর্থঃ "অতঃপর তারা উভয়েই সে গাছ থেকে খেল। তখন তাদের উভয়ের সতর তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের গাছের পাতা দিয়ে নিজদেরকে আবৃত করতে লাগল এবং আদম তার রবের হুকুম অমান্য করল; ফলে সে বিভ্রান্ত হল।"

ভাষ্য, উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/20

দেখুন আল্লাহ পরিষ্কার ইরশাদ করেছেন যে আদম আঃ তাঁর "রবের হুকুম অমান্য করল" এবং তিনি "বিভ্রান্ত হল"।

এ রকম আরও অনেক নবী রসূল আল্লাহ পাকের হুকুম মানতে ব্যর্থ হয়েছেন, ভুল করেছেন, কারন তাঁরা আমাদেরই মত দোষে গুনে মানুষ।

তবে সকল নবী রাসুলই মানব জাতীর মধ্যে চরিত্রে শ্রেষ্ঠতম, আর তাই আল্লাহ পাক তাঁদের রিসালাতের জন্য নির্বাচন করেন, তাঁরা ত্রুটি করলে তাঁদের পরিশুদ্ধ করেন।

আদম আঃ হারাম কর্ম করে ফেলার পর আল্লাহ তায়ালার নিকট বিশেষ ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাঁর সে সুন্নাহ আল্লাহ পাক কুর'আনে ইরশাদ করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"কালা রাববানা যালামনা আনফুসানা ওআ-ইন লাম তাঘফির লানা ওআ-তারহামনা লা-নাকুনাননা মিনা ল-খাসিরিন" সুরা আ'রাফ, আয়াত ২৩।

অর্থঃ "তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমরা নিজদের উপর যুলম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব’"

ভাষ্য, উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/7

Fahim Bin Harun ০২.০৪.২০২২ ২য় খণ্ড

তারপর আল্লাহ পাক তাঁকে দয়াপরবশ হয়ে ক্ষমা করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ফা-তালাককা আদামু মিন রাববিহি কালিমাতিন ফা-তাবা আলায়হি ইননাহু হুওআ ত-তাওওআবু র-রাহিম" সুরা বাকারা, আয়াত ৩৭।

অর্থঃ "অতঃপর আদম তার রবের পক্ষ থেকে কালিমা লাভ করলেন; আল্লাহ তার তাওবা কবূল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী, অতি দয়ালু।"

ভাষ্য, উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/2

(অনুবাদ কিঞ্চিত লেখক কত্রিক সংশোধিত)

এমন উদহারন আল্লাহ পাক আল-কুর'আনুল আজিমে আরও দিয়েছেন, পড়ে দেখলেই পাবেন।

নবী রসুলরা আদম সন্তানদের শ্রেষ্ঠ সন্তান - তাঁদের চরিত্র অনুপম পবিত্র ও আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় - কিন্তু তাঁরাও সংগ্রাম করে সাধনা করেই তাঁদের চরিত্র সুন্দর রাখেন।

আপনি তাঁদের ভুল করার সম্ভাবনা দূর করে দিলে তাঁদের গৌরব হ্রাস পায়। মানুষের ভুল হয়, রোবটের হয় না। কিন্তু মানুষকেই আল্লাহ পাক বেহেশ্তে স্থান দেবেন, কোন যন্ত্র নির্ভুল হওয়া সত্বেও তাকে বেহেশ্তে স্থান দেবেন না আল্লাহ পাক।

কারন ভালোর জন্য সংগ্রাম করাই দীন, ভালোর জন্য সংগ্রাম করাই আমাদের কর্তব্য করে দিয়েছেন আল্লাহ্‌ তায়ালাঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"য়া আইয়্যু হান্নাসু বুদু রব্বাকুমুল্লাজি খলাক কুম ওল্লাজিনা মিন কবলিকুম লাআল্লাকুম তাত্তাকুন" - সুরা বাকারা, আয়াত ২১।

অর্থঃ "হে মানুষ! তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদাত কর যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার’"

ভাষ্য, উচ্চারণ, ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/2

নবী রাসুলগণ শহীদ, সত্যানুসন্ধানি, ও সৎকর্মশীল সালেহিনদের সাথে মানব জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

"ওআ-মান য়ুতী ললাহা ওআ-র-রাসুলা ফা-উলাইকা মাআ ললাজিনা আনামা ললাহু আলায়হিম মিনা ন-নাবিয়য়িনা ওআ-স-সিদদিকিনা ওআ-শ-শুহাদাই ওআ-স-সালিহিনা ওআ-হাসুনা উলাইকা রাফিকা" সুরা নিসা, আয়াত ৬৯

অর্থঃ "আর যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা তাদের সাথে থাকবে, আল্লাহ যাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে। আর সাথী হিসেবে তারা হবে উত্তম।"

ভাষ্য, উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/4

২। আপনি বলেছেনঃ

"আরেক টি কথা না বললেই নয়....রাসুল সাঃ এর জীবনী থেকেই সুন্নত এসেছে।আপনি যদি বলেন রাসুল সাঃ আল্লাহর অসন্তোষ এর স্বীকার হয়েছেন....তাহলে আল্লাহ কেন রাসুল সাঃ কে অনুসরণ এর কথা বলবেন??"

জবাবঃ আমরা রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে তিনি আল্লাহ পাকের বানী আল-কুর'আন যেভাবে আমাদের শিখিয়েছেন ও নিজে আমল করেছেন তা অনুসরন করবো। আল্লাহ পাক তাই হুকুম দিয়েছেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ফা-লা তাখশাওউ ন-নাসা ওআ-খশাওনি ওআ-লা তাশতারু বি-আয়াতি সামানান কালিলান ওআ-মান লাম য়াহকুম বি-মা আনযালা ললাহু ফা-উলাইকা হুমু ল-কাফিরুন; ওআ-মান লাম য়াহকুম বি-মা আনযালা ললাহু ফা-উলাইকা হুমু ল-কাফিরুনসুরা মায়েদা, আয়াত নং ৪৪, শেষ অংশ।

অর্থঃ সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াতসমূহের বিনিময়ে সামান্য মূল্য ক্রয় করো না। আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে ফয়সালা করে না, তারাই কাফির।

ভাষ্য, উচ্চারণ, ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/5

জাজাকাল্লাহু খাইরান। আল্লাহ পাক আমাদের হিদায়াত করুন।

এর পর আর এখনও কেউ জবাব দেন নি।

 

আজ এখানে এ বিষয়ে আরেকটি ভিডিও আলোচনা দেখলামঃ

আমি নবীর (সাঃ) গোলাম বলা যাবে কি? Allama Mamunul Haque ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীhttps://www.youtube.com/watch?v=ImiNMlnowYc&ab_channel=AlGhurabaMedia

 

আরও কিছু আলোচনাঃ

১। নবিজীর গোলাম বলা যাবে কিনা? তারিখ 20/04/2018 https://modinargolam.wordpress.com/2018/04/20/%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B2/

২। রাসূলের গোলাম বলা যাবে কিনা? কুরআন ও হাদীস কী বলে এক্ষেত্রে? এপ্রিল 28, 2021, http://techalarmbd.com/%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%AB%E0%A7%80%E0%A6%9C%E0%A6%AE-%E0%A6%93-%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4/alarm-id/79502/

৩। “নবিজীর গোলাম বলা যাবে কি এবং এতে কোন প্রকার শিরকের সম্ভাবনা আছে কিনা!! May 06, 2018, http://amarislambd.blogspot.com/2018/05/blog-post.html

৪। আব্দুল মুস্তাফা বা রাসূলের গোলাম বলার বিধান, তারিখ নেই, https://roushandalil.com/%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%B2/

সকল লিঙ্ক ০৫.০৪.২০২২ তারিখে পরীক্ষিত।

 

এতে দেখা যায় বিষয়টি সমকালিন মুসলিম মানসে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।



[1] https://www.facebook.com/raihan11/posts/pfbid037dfkUrWSdRVpsz9kGTsDrASqkWu9GGpUGDjX79w2NErb59BnnXj6vRjoDrNUeG4dl, ০৫.০৪.২০২২ তারিখে সর্বশেষ পরীক্ষিত।

[2] https://www.researchgate.net/project/Rasulullah-Sa-Is-Our-Sahib-or-Companion-Not-Lord, ০৫.০৪.২০২২ তারিখে সর্বশেষ পরীক্ষিত।

[3]https://thecuriouslawyer.blogspot.com/2022/03/rasulullah-sa-is-our-sahib-companion.html, ০৫.০৪.২০২২ তারিখে সর্বশেষ পরীক্ষিত।

[4] Document opened on 15.03.2022. Research conducted on the same date.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন