রোজা বা উপবাস
যে আল্লাহ তায়ালার আইন নয়, বরং মানুষের সৃষ্টি করা আইন তা বোঝার উপায়
আবু রায়হান
মুহম্মদ খালিদ, বার-এট-ল।
=============================
আমি উপবাস করিনা।
উপবাসের আইন বর্তমান কোরআন আজিমে অন্তর্ভুক্ত আছে বটে, কিন্ত আমার জ্ঞানত তা জালিয়াতি
করে অন্তর্ভুক্ত করেছে মানুষ।
আল্লাহ তায়ালা
মানুষকে সৃষ্টি করেছেনঃ কর্মে কে উত্তম তা পরীক্ষা করতে[1]। উপবাস আমাদের স্বাভাবিক
কর্ম নয়, এ বাহ্যিক আচরন মাত্র, মানুষের উদ্ভাবন।
রোজা বা উপবাস
যে আল্লাহ তায়ালার আইন নয়, বরং মানুষের সৃষ্টি করা আইন তা বোঝার উপায়ঃ
উপবাস বা যে
কোন প্রচলিত ইবাদত প্রকৃত ইসলামের ইবাদত কিনা তা পরীক্ষা করার দুইটি ধাপ আছেঃ
১। রোজা বা
উপবাসের শরিয়াটি আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত বিবেকের মাপকাঠিতে বিচার করে নেয়া; এবং
২। কোরআন আজিম
বিকৃত হয়েছে, তা জানা।
১। রোজা বা
উপবাসের শরিয়া আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত বিবেকের মাপকাঠিতে বিচার করে নেয়া।
সংযমের পরিবর্তে
বরং অধিক ভোগ ও দুর্নীতি হচ্ছে রমজান মাসে। তাই এটা আল্লাহ তায়ালার আইন হতে পারে না।
আল্লাহ তায়ালার আইন মানলে তার ফল অশুভ বা ক্ষতিকর হতে পারে না, যেমন হয়েছে রোজার ক্ষেত্রে।
প্রকৃত সংযম
সাধনা রয়েছে আপন প্রবৃত্তি বা নফস দমনে, উপবাসে বছরে একমাস প্রবৃত্তির এক অংশ অর্থাৎ
খাদ্য গ্রহনের বাসনার দমনের অভিনয় করা হয় মাত্র, মূলত সকলে এই এক মাসে অন্য সময়ের
চেয়ে অধিক খাদ্য পানীয় ভোগ করে থাকেন। এই এক মাসে সকলের খাদ্য পানীয়, বস্ত্র ও অন্য
ভোগ বাবদ ব্যায় প্রকৃতপক্ষে বৎসরের অন্য যে কোন মাসের চেয়ে অধিক হয়ে থাকে। তবে এই
এক মাসে সংযম কোথায়?
এ সময় দোকাদার
ও ব্যবসায়ীগন বৎসরের অন্য সময়ের চেয়ে অধিক অর্থ উপার্জন করেন এবং তা করতে গিয়ে
অধিক মিথ্যা কথা বলা, মজুতদারী করা- করে থাকেন।
সমাজের অন্যরাও
এ মাসে অধিক হারাম কাজ যেমন অতিরিক্ত ব্যায়ের অর্থ যোগাতে অধিক ঘুষ গ্রহণ, বা অধিক
অপব্যায় করে থাকেন।
এই মাস সংযমের
নয় বরং নফসের বা প্রবৃত্তির ইবাদতের হয়ে উঠেছে।
এ ইসলামের ইবাদত
নয়। আল্লাহ তায়ালা সারা বছরই প্রবৃত্তি বা নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদেশ করেছেন, বছরের
একমাস নয়। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আউজুবিল্লাহি মিনাশাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম
“ওআ-আমমা মান
খাফা মাকামা রাববিহি ওআ-নাহা ন-নাফসা আনি ল-হাওআ; ফা-ইননা ল-জাননাতা হিয়া ল-মাওআ”
সুরা আন-নাযি'আত, আয়াত অং ৪০, ৪১ (৭৯:৪০, ৪১) ।
অর্থঃ “আর যে
স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানোকে ভয় করে এবং কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজকে বিরত রাখে; নিশ্চয় জান্নাত
হবে তার আবাসস্থল” (আল-বায়ান অনুবাদ) ।[2]
তাহলে দেখা
যায় বছরে একমাস শুধু পানাহার ভোগ থেকে নিজেকে নিবৃত রাখা নয় বরং সারা বৎসরই কুপ্রবৃত্তির
হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আদেশ করেন আল্লাহ তায়ালা।
বর্তমানে ইসলাম
ধর্মের নামে বহু জাল ইবাদত প্রচলিত আছে। ইসলাম ধর্মে অসংখ্য ভাগ বা মাজহাব সৃষ্টি হয়েছে
এই সব জাল ইবাদতকে কেন্দ্র করে। কেউ বলেন পীরের হুকুম মানা শিরক, কেউ বলেন যার পীর
নেই তার পীর শয়তান। কেউ বলেন ইমাম মানতে হবে, কেউ বলেন ইমাম মানা শিরক। কেউ তারাবী
নামাজ জামাতের সাথে পড়েন, কেউ পড়েন না। কেউ বলেন তারাবী ৮ কেউ বলেন ২০ রাকাত। আগে বলতেন
ছবি তোলা হারাম, এখন হজ করতে গেলেই ছবি লাগে। তা আর হারাম নয়। কেউ বলেন পশু বলি দেয়া
বা কোরবানি ওয়াজিব, কেউ বলেন তা সুন্নাহ। এভাবে প্রয়োজন মত শরিয়া নিত্য আবিষ্কার হচ্ছে
ও পরিবর্তিত হচ্ছে। এ আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাতেই হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা এই বিভ্রান্তি
সৃষ্টি করে তিনি এর মধ্য দিয়ে তিনি মুত্তাকী বেছে নিবেন।
তাহলে আমরা
কি করে বুঝবো কোনটি প্রকৃত আল্লাহ তায়ালার বিধান? আমার বিবেক ও বিবেচনা শক্তি, কোরআন
আজিমে আল্লাহ তায়ালা একে ‘আফইদাত’ বা অন্তকরণ বলে অবহিত করেছেন। এই আফইদাত দিয়ে বিচার
করে চিনে নিতে হবে কোনটি আল্লাহ তায়ালার আইন আর কোনটি মানুষের সৃষ্টি করা আইন।
আল্লাহ তায়ালা
ইরশাদ করেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
“কুল হুওআ ললাজি
আনশাআকুম ওআ-জাআলা লাকুমু স-সামা ওআ-ল-আবসারা ওআ-ল-আফিদাতা কালিলান মা তাশকুরুন”, সুরা
আল- মুলক, আয়াত নং ২৩।
অর্থঃ “বল,
‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে দিয়েছেন শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও অন্তঃকরণ।
তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাক। (তাফসীরে আহসানুল বায়ান) ।[3]
আল্লাহ তায়ালা
আরও ইরশাদ করেন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
“ওআ-নাফসিন
ওআ-মা সাওওআহা; ফা-আলহামাহা ফুজুরাহা ওআ-তাকোআহা”, সুরা আশ-শামস, আয়াত ৭ ও ৮।
অর্থঃ “কসম
নাফসের এবং যিনি তা সুসম করেছেন” । (আল-বায়ান অনুবাদ); “অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও
সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন” ।[4]
ভালো-মন্দ,
অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান আল্লাহ তায়ালা আমাদের অন্তরের মধ্যেই দান করেছেন, আর তা ব্যবহার
করে আমাদের প্রত্যেককে নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটি আল্লাহ তায়ালার হিদায়াত
ও কোনটি মানুষের তৈরি করা মিথ্যা।
২। কোরআন আজিম
বিকৃত হয়েছে, তা জানা
কোরআন আজিম
যে বিকৃত হয়েছে তার দলীল আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং ইরশাদ করেছেন; কোরআন আজিমেই। বিস্তারিত
বলছি।
আল্লাহ তায়াআ
ইরশাদ করেন যে তিনিই ‘যিকরা’ বা যে সকল কিতাব আল্লাহ তায়ালা মানুষের নিকট প্রেরণ করেন,
তার সংরক্ষক। আল্লাহ তায়ালা ইরশদ করেন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
“ইননা নাহনু
নাযযালনা জ-জিকরা ওআ-ইননা লাহু লা-হাফিযুন”, সুরা হিজর, আয়াত নং ৯ (কোরআন ১৫:৯) ।
অর্থঃ “আমিই
জিকর অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই উহার সংরক্ষক” । (মুজিবুর রহমান অনুবাদ)।[5]
এখানে লক্ষ
করুন আল্লাহ তায়ালা কোরআন আজিমের নাম না ধরে একে যিকরা বলেছেন। যিকরা কি? সংক্ষেপে
বলছি, যিকরা হল যা স্মরণ করিয়ে দেয়, অনেকে এর অনুবাদ স্মরণিকা[6] বা ইংরেজিতে
‘Reminder’[7] করেছেন। আদম সন্তানের সাথে আল্লাহ তায়ালার যে আদি চুক্তি হয়েছে গায়েবের
জগতে[8], সে চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে আল্লাহ তায়ালা ৫০০ বা হাজার বৎসরের বিরতির
পর একটি একটি কিতাব এক এক জন রাসুলুল্লাহ এর মাধ্যমে দুনিয়েতে প্রেরণ করেন। যখন মানুষ
আল্লায় তায়ালার সাথে তাদের চুক্তির কথা ভুলে গিয়ে পাপ কর্মে নিমজ্জিত হয়, আল্লাহ তায়ালা
তখন একটি স্মরণিকা প্রেরণ করে তাদের তাঁর পথে ফিরে আসতে আহ্বান করেন ও সতর্ক সঙ্কেত
প্রদান করে ভয় দেখান। এই জন্য কিতাবকে আল্লাহ তায়ালা স্মরণিকা বা reminder নামে অবহিত
করেন।
সকল আসমানি
কিতাবই জিকরা, কোরআন আজিম একা জিকরা নয়।
বিশেষ করে লক্ষ
করুন যে কোরআন আজিম আল্লাহ তায়ালা প্রেরিত আর সকল কিতাবের চেয়ে আলাদা নয়, এ পূর্বে
প্রেরিত সকল গ্রন্থের অনুরুপ, বা ‘মুসাদদিকান লি-মা মাআকুম’ (কোরআন ২:৪১, এবং আরও অনেক
আয়াত) । এই কারনেই সুরা হিজরের ৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা কোরআন আজিমের নাম না ধরে একে
যিকরা বলে আসমানি কিতাবের সাধারন নামে একে অবহিত করেছেন। যাতে মানুষ কোরআন আজিমকে অন্য
কিতাব থেকে আলাদা কিছু মনে না করে। আল্লাহ তায়ালা প্রেরিত সকল কিতাবই যিকরা, কোরআন
আজিম একা যিকরা নয়।
আল্লাহ তায়ালা
ইরশাদ করেন যে তিনি রাসুলুল্লাহ মুসা কে ‘যিকরা’ দান করেছেনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম
“ওআ-লা-কাদ
আতায়না মুসা ওআ-হারুনা ল-ফুরকানা ওআ-দিয়াআন ওআ-জিকরান লি-ল-মুততাকিন”, সুরা আল-আম্বিয়া,
আয়াত ৪৮।
অর্থঃ “আর আমি
তো মূসা ও হারূনকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী দিয়েছিলাম এবং মুত্তাকীদের জন্য দিয়েছিলাম
জ্যোতি ও উপদেশ (‘যিকরা’) (আল-বায়ান অনুবাদ) ।[9]
আরও দেখুন,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
“ওআ-মা আরসালনা
মিন কাবলিকা ইললা রিজালান নুহি ইলায়হিম ফা-সালু আহলা জ-জিকরি ইন কুনতুম লা তালামুন,
সুরা আন-নাহাল, আয়াত নং ৪৩।
অর্থঃ “আর আমি
তোমার পূর্বে কেবল পুরুষদেরকেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি, যাদের প্রতি আমি ওহী পাঠিয়েছি।
সুতরাং জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা কর, যদি তোমরা না জানো” ।[10]
লক্ষ করুন আল্লাহ
তায়ালা এখানে পূর্বতন উম্মতদের “আহলা জ-জিকরি” বা যাদের যিকরা দেয়া হয়েছে সে সমস্ত
মানুষ বলে ইরশাদ করেছেন, অর্থাৎ সকল কওমকেই যিকরা দেয়া হয়েছে, কোরআন আজিম একা যিকরা
নয়।
এই কিতাব সংরক্ষিত
আছে লাওহে মাহফুজে। সেখানে একে সংরক্ষনের কথাই আল্লাহ তায়ালা সুরা হিজরের ৯ নং আয়াতে
উল্লেখ করেছেন। কারন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
“ইননাহু লা-কুরানুন
কারিম”, “ফি কিতাবিন মাকনুন” সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত ৭৭ ও ৭৮ (কোরআন ৫৬ঃ৭৭ ও ৭৮)
অর্থঃ “নিশ্চয়
এটি মহিমান্বিত কুরআন; যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে,” (আল-বায়ান অনুবাদ) ।[11]
আরও দেখুন,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
“বাল হুওআ কুরানুন
মাজিদ; ফি লাওহিন মাহফুয”, সুরা আল বুরুজ, আয়াত নং ২১ ও ২২
অর্থঃ “বরং
তা সম্মানিত কুরআন।; সুরক্ষিত ফলকে” (আল-বায়ান অনুবাদ।) ।[12]
দেখুন, কোরআন
আজিম সুরক্ষিত, কিন্তু কোথায়? লাওহে মাহফুজে; পৃথিবীতে নয়। আল্লাহ তায়ালা তা স্পষ্ট
করেই বলেছেন আরেক আয়াতে, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
“ইননা জাআলনাহু
কুরানান আরাবিয়য়ান লাআললাকুম তাকিলুন; ওআ-ইননাহু ফি উমমি ল-কিতাবি লাদায়না লা-আলিয়য়ুন
হাকিম”, সুরা আয-যুখরুফ, আয়াত নং ৩ ও ৪।
অর্থঃ “আমি
ওটাকে করেছি আরবী ভাষার কুরআন যাতে তোমরা বুঝতে পার; আমার কাছে তা উম্মুল কিতাবে সংরক্ষিত
আছে, আর তা হল অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন জ্ঞান-বিজ্ঞানে পূর্ণ।“(তাইসিরুল অনুবাদ)।[13]
দেখুনঃ কোরআন
আজিম সংরক্ষিত আছে, কিন্তু কোথায়? উম্মুল কিতাব বা লাওহে মাহফুজে।
তাহলে দেখুন
এই কোরআন আজিম এবং আল্লাহ তায়ালা প্রেরিত সকল কিতাবই জিকরা বা স্মরণিকা, এবং এই সকলের
উৎস হল উম্মুল কিতাব, যা আল্লাহ তায়ালা লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত করে রেখেছেন। এবং এই
সংরক্ষন করার কথাই সুরা হিজরের ৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন।
কোরআন আজিম
বিকৃত হয়েছে – আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
দুনিয়াতে প্রেরনের
পর মানুষ আল্লাহ তায়ালার সকল কিতাবকেই বিকৃত করেছে, তাওরাত বিকৃত হয়েছে, ইঞ্জিল বিকৃত
হয়েছে, কোরআন আজিম বিকৃত হয়েছে। আর তা আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং কোরআন আজিমে ইরশাদ করেছেন।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমঃ
"ইননা
ললাজিনা য়ুলহিদুনা ফি আয়াতিনা লা য়াখফাওনা আলায়না আ-ফা-মান য়ুলকা ফি ন-নারি খায়রুন
আম মান য়াতি আমিনান য়াওমা ল-কিয়ামাতি”, সুরা হা-মীম আস-সাজদা, আয়াত নং ৪০। (কোরআন
৪১ঃ৪০)
অর্থঃ “নিশ্চয়
যারা আমার আয়াতসমূহ বিকৃত করে তারা আমার অগোচরে নয়। যে অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হবে সে কি
উত্তম, না যে কিয়ামত দিবসে নিরাপদভাবে উপস্থিত হবে? তোমাদের যা ইচ্ছা আমল কর। নিশ্চয়
তোমরা যা আমল কর তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা।“(আল-বায়ান অনুবাদ)।[14]
আয়াতে ইরশাদ
হওয়া ‘য়ুলহিদুনা’ শব্দের মাসদার ل ح د।
এর অর্থ “to distort, to pervert”[15]; “distort”[16]। অর্থাৎ বিকৃত করা।
তাহলে দেখুন
আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং ইরশাদ করেছেন যে কোরআন আজিম বিকৃত হয়েছে, এবং তা হয়েছে রাসুলুল্লাহ
মুহম্মদ এর জীবন কালেই, কোরআন আজিম যখন নাজিল হচ্ছিল সেই ২৩ বৎসরের মধ্যেই।
আল্লাহ তায়ালা
নিজেই ইরশাদ করেছেন যে কোরআন আজিম বিকৃত হয়েছে, আবার আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন যে
তিনি যিকরা সংরুক্ষন করবেন। তাহলে কি এই দুই আয়াত পরস্পর বিরোধী?
না, তা নয়।
যদি আমরা বুঝতে পারি যে কোরআন আজিম ও সকল জিকরা সংরক্ষিত আছে লাওহে মাহফুজে, আর দুনিয়াতে
কোরআন আজিম ও সকল আসমানি কিতাব বিকৃত হচ্ছে, তাহলে আর সংঘর্ষ থাকে না।
জাজাকাল্লাহু
খাইরান। ফী আমানিল্লাহ।
রেফারেন্সঃ
[1] সুরা আল-কাহফ,
আয়াত নং ৭, https://quranhadithbd.com/sura/18?s=7;
সুরা আল-মুলক, আয়াত নং ২, https://quranhadithbd.com/sura/67?s=2
[2] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/79?s=40
[3] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/67?s=23
[4] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/91?s=7
[5] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/15
[6] দেখুন সূরা
আন-নাহাল, আয়াত: ৪৪, https://quranhadithbd.com/sura/16?s=44
[7]
Badawi, E.M.; Haleem, M.A., Arabic-english Dictionary of Qur’anic Usage, Brill,
Leiden – Boston, 2008. ISBN: 9789004149489. পৃষ্ঠা নং ৩৩১। আমরা বইটির একটি ইবুক
সংস্করন ব্যবহার করেছি। এ ছাড়াও একটি অনলাইন ডাটাবেইজ এর অভিধান একই তথ্য দেয়, দেখুন
আরবি জাল-কাফ-রা বর্ণত্রয়ে গঠিত যে সকল শব্দ কোরআন আজিমে আছে, তার তালিকাঃ https://corpus.quran.com/qurandictionary.jsp?q=*kr#(15:9:4)
[8] দেখুন সুরা
আল-আ'রাফ আয়াত নং ১৭২, https://quranhadithbd.com/sura/7?s=171।
মানুষের অন্তরেই আল্লাহ তায়ালা ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা দান করেছেনঃ এ কথা অন্য
আরও আয়াতেও ইরশাদ হয়েছে, যেমন দেখুন সুরা আশ-শামস, আয়াত ৭ ও ৮, উৎস উপরে প্রদত্ত।
[9] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/21?s=49।
[10] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/16?s=44
[11] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/56?s=77
[12] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/85?s=21
[13] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/43?s=4
[14] ভাষ্য,
উচ্চারন ও অনুবাদঃ https://quranhadithbd.com/sura/41?s=41।
কোরআন আজিম যে বিকৃত হয়েছে তা আল্লাহ তায়ালা কোরআন আজিমের আরও অনেক আয়াতে সরাসরি উল্লেখ
করেছেন, দেখুনঃ সুরা বাকারা, আয়াত নং ৭৫; সুরা বাকারা, আয়াত নং ৭৯; সুরা আল-ইমরান,
আয়াত নং ৭৮, ইত্যাদি।
[15]
Badawi, E.M.; Haleem, M.A., ঐ, পৃষ্ঠা নং ৮৩৭।
[16] https://corpus.quran.com/qurandictionary.jsp?q=lHd#(41:40:3)